🔵 লিমপেট ১ মি.গ্রা. ট্যাবলেট

লিমপেট ১ মিগ্রা ট্যাবলেট হলো একটি শক্তিশালী ওষুধ যা প্রধানত টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধের সক্রিয় উপাদান গ্লাইমেপিরাইড, যা প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে এবং শরীরের কোষগুলোকে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

🏭 উৎপাদক প্রতিষ্ঠান

লিমপেট ট্যাবলেট বাংলাদেশের সম্মানিত ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান Drug International Ltd. দ্বারা উৎপাদিত। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল তাদের গুণগতমান এবং নিরাপত্তা নিয়ে দেশে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ওষুধ উৎপাদন করে এবং স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখে।

💊 ব্যবহারের নির্দেশনা ও উপকারিতা

• লিমপেট ট্যাবলেট মূলত টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তৈরি, যারা খাদ্য ও ব্যায়াম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন না।

• ওষুধটি প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং শরীরের কোষগুলোর ইনসুলিন গ্রহণের ক্ষমতা উন্নত করে, যা রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

• ডোজ সাধারণত প্রতিদিন ১ মিগ্রাম থেকে শুরু হয় এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়ানো যায়, সর্বোচ্চ ৬ মিগ্রাম পর্যন্ত।

• নিয়মিত ডায়াবেটিস মনিটরিং এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করা আবশ্যক।

⚠️ সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

• লিমপেট গ্রহণের সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক কমে যাওয়া) হতে পারে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ঘাম হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

• যাদের যকৃত বা কিডনির সমস্যা আছে, তারা এই ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

• ওষুধ নিয়মিত এবং একই সময়ে গ্রহণ করুন।

• খাবার ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

• যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

📦 প্যাকেজিং ও বাজারজাতকরণ

• লিমপেট ট্যাবলেট ১ মিগ্রাম মাত্রায় পাওয়া যায়।

• প্রতিটি প্যাকেটে ১৪টি ট্যাবলেট থাকে।

• এটি বাংলাদেশের Drug International Ltd. দ্বারা উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত।

সমাপ্তি

লিমপেট ১ মিগ্রা ট্যাবলেট একটি নির্ভরযোগ্য ওষুধ যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা সুস্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।